আখতারুজ্জামান আজাদ এর একটি কবিতা পরছিলাম। অসাধারন একটা কবিতা।
এই কবিতা পড়তে যেয়ে ফিনিক্স পাখি সম্পর্কে একটু জানতে ইচ্ছে হল। ফিনিক্স পাখি সম্পর্কে আমার ধারনা খুব ই সীমাবদ্ধ ছিল। জানতাম ফিনিক্স এক অদ্ভুত পাখি যাকে আগুন পাখি বলা হয়। এতটুকুই। তাই একটু অন্তরজাল ঘেঁটে দেখলাম। অবাক হলাম খুব। কি অদ্ভুত এক সপ্নের বুনন গেঁথেছিল আমাদের পূর্বপুরুষরা।
আগুন পাখি বা ফিনিক্স উপকথার এক অবিনাশী পাখি। ৫০০ বছর বাঁচত এ পাখি। তারপর জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বিভিন্ন সুগন্ধি উদ্ভিদ যেমন দারুচিনি, গন্ধরস প্রভৃতি দিয়ে বাসা বাধত। অতঃপর সে বাসায় আগুন জ্বেলে আত্মহত্যা করত। বাসা সহ ফিনিক্স পাখিটি পুড়ে ছাই হয়ে যেত। না, এখানেই সব শেষ নয়, কারণ ভস্মিভূত ছাই থেকে আবার জেগে উঠত আরেকটি অগ্নিবর্ণ ফিনিক্স পাখি। নতুন পাখিটি তারপর সে ছাই জড়ো করে হেলিওপোলিস নামে প্রাচীন মিশরের একটি নগরে যেত সেখানকার সূর্য দেবতাকে শ্রদ্ধা জানাতে।
পাখিটি পুর্নজন্ম, নিরাময়, ধ্বংসের পরও বেঁচে থাকার আকাঙ্খা এবং অমরত্ম তথা দীর্ঘ জীবনের প্রতীক।
একটু ঘুরে আসি কথা থেকে এসেছে এই আগুনপাখির ধারনা। ফিনিশিয় সভ্যতাই নাকি প্রথম ফিনিক্স পাখির কল্পনা করেছিল। ফিনিশিয় সভ্যতা প্রথম ফিনিক্স পাখির কল্পনা করলেও অন্যান্য সভ্যতার ধর্মীয় পুরাণে বৃহৎ পাখির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় । যেমন, ভারতে দেবতা বিষ্ণুর বাহন গরুড়, প্রাচীন মিশরে বেনু বা বেন্নু। মিশরীয় মিথ এ এই বেনু পাখি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। নীল নদের প্লাবনের সময় নীল রঙের সুন্দর এই পাখিটি আশ্রয় নেয় উঁচু জায়গায় । তখন মনে হয় পানিতে সূর্য ভাসছে। এই কারণে এ পাখির নাম হয়েছে ‘উদিত জন’ বা ‘দি অ্যাসেন্ডিং ওয়ান’ মানে, যা উঠছে, যা মনে করিয়ে দেয় সূর্য দেবতা ‘রা ’ কে। প্রাচীন মিশরে আত্মাকে বলা হত, ‘বা’। বেনু পাখিকে সূর্য দেবতা ‘রা ’ এর আত্মা মনে করা হত। এভাবেই এ পাখিটির নাম হয়, বেনু বা বেন্নু। হেলিওপোলিস মানে সূর্যের নগরী। এটি প্রাচীন মিশরে অবস্থিত ছিল। প্রাচীন হেলিওপোলিস নগরে অধিবাসীরা বেনু পাখি কে ভীষণ শ্রদ্ধা করত। হেলিওপোলিস নগরের উপকথা অনুযায়ী, বেনু পাখির জন্ম আগুন থেকে। হেলিওপোলিস নগরে দেবতা রা-এর উপাসনালয়ের প্রাঙ্গনে এক পবিত্র গাছ ছিল। সেই পবিত্র গাছের নাম ‘জসদ’। সেই গাছটিই পোড়ানো হলে বেনু পাখির জন্ম হয়।
পারস্যের উপকথায় ও ডানাওয়ালা পাখিসদৃশ জীবের কল্পনা করা হয়েছে; যার নাম সিমুর্গ। সিমুর্গ অতি বৃহৎ ও প্রাচীন।
এছারাও ফিনিক্স-এর মতোই চিনের উপকথার পাখির নাম ফেঙহুয়াঙ। ফেঙহুয়াঙ চিনের সাম্রাজ্ঞী ও নারীর প্রতীক।
" আমরা বাহান্নতে মরেছি দলে দলে,
আমরা একাত্তরে মরেছি ঝাঁকে ঝাঁকে,
আমরা পঁচাত্তরে মরেছি সপরিবারে।
প্রতিটি মৃত্যুর পর আমরা আবার জেগে উঠেছি,
যেভাবে জেগে ওঠে একটি ফিনিক্স পাখি, অগ্নিদগ্ধ ভস্ম থেকে।"
এই কবিতা পড়তে যেয়ে ফিনিক্স পাখি সম্পর্কে একটু জানতে ইচ্ছে হল। ফিনিক্স পাখি সম্পর্কে আমার ধারনা খুব ই সীমাবদ্ধ ছিল। জানতাম ফিনিক্স এক অদ্ভুত পাখি যাকে আগুন পাখি বলা হয়। এতটুকুই। তাই একটু অন্তরজাল ঘেঁটে দেখলাম। অবাক হলাম খুব। কি অদ্ভুত এক সপ্নের বুনন গেঁথেছিল আমাদের পূর্বপুরুষরা।
আগুন পাখি বা ফিনিক্স উপকথার এক অবিনাশী পাখি। ৫০০ বছর বাঁচত এ পাখি। তারপর জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বিভিন্ন সুগন্ধি উদ্ভিদ যেমন দারুচিনি, গন্ধরস প্রভৃতি দিয়ে বাসা বাধত। অতঃপর সে বাসায় আগুন জ্বেলে আত্মহত্যা করত। বাসা সহ ফিনিক্স পাখিটি পুড়ে ছাই হয়ে যেত। না, এখানেই সব শেষ নয়, কারণ ভস্মিভূত ছাই থেকে আবার জেগে উঠত আরেকটি অগ্নিবর্ণ ফিনিক্স পাখি। নতুন পাখিটি তারপর সে ছাই জড়ো করে হেলিওপোলিস নামে প্রাচীন মিশরের একটি নগরে যেত সেখানকার সূর্য দেবতাকে শ্রদ্ধা জানাতে।
পাখিটি পুর্নজন্ম, নিরাময়, ধ্বংসের পরও বেঁচে থাকার আকাঙ্খা এবং অমরত্ম তথা দীর্ঘ জীবনের প্রতীক।
একটু ঘুরে আসি কথা থেকে এসেছে এই আগুনপাখির ধারনা। ফিনিশিয় সভ্যতাই নাকি প্রথম ফিনিক্স পাখির কল্পনা করেছিল। ফিনিশিয় সভ্যতা প্রথম ফিনিক্স পাখির কল্পনা করলেও অন্যান্য সভ্যতার ধর্মীয় পুরাণে বৃহৎ পাখির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় । যেমন, ভারতে দেবতা বিষ্ণুর বাহন গরুড়, প্রাচীন মিশরে বেনু বা বেন্নু। মিশরীয় মিথ এ এই বেনু পাখি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। নীল নদের প্লাবনের সময় নীল রঙের সুন্দর এই পাখিটি আশ্রয় নেয় উঁচু জায়গায় । তখন মনে হয় পানিতে সূর্য ভাসছে। এই কারণে এ পাখির নাম হয়েছে ‘উদিত জন’ বা ‘দি অ্যাসেন্ডিং ওয়ান’ মানে, যা উঠছে, যা মনে করিয়ে দেয় সূর্য দেবতা ‘রা ’ কে। প্রাচীন মিশরে আত্মাকে বলা হত, ‘বা’। বেনু পাখিকে সূর্য দেবতা ‘রা ’ এর আত্মা মনে করা হত। এভাবেই এ পাখিটির নাম হয়, বেনু বা বেন্নু। হেলিওপোলিস মানে সূর্যের নগরী। এটি প্রাচীন মিশরে অবস্থিত ছিল। প্রাচীন হেলিওপোলিস নগরে অধিবাসীরা বেনু পাখি কে ভীষণ শ্রদ্ধা করত। হেলিওপোলিস নগরের উপকথা অনুযায়ী, বেনু পাখির জন্ম আগুন থেকে। হেলিওপোলিস নগরে দেবতা রা-এর উপাসনালয়ের প্রাঙ্গনে এক পবিত্র গাছ ছিল। সেই পবিত্র গাছের নাম ‘জসদ’। সেই গাছটিই পোড়ানো হলে বেনু পাখির জন্ম হয়।
পারস্যের উপকথায় ও ডানাওয়ালা পাখিসদৃশ জীবের কল্পনা করা হয়েছে; যার নাম সিমুর্গ। সিমুর্গ অতি বৃহৎ ও প্রাচীন।
এছারাও ফিনিক্স-এর মতোই চিনের উপকথার পাখির নাম ফেঙহুয়াঙ। ফেঙহুয়াঙ চিনের সাম্রাজ্ঞী ও নারীর প্রতীক।